আলহাজ্ব সরকার টুটুল তাড়াশ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানির জন্য পশুর চাহিদা প্রায় ৫৪০০টি বিপরীদে প্রস্তুত ৬২ হাজার পশু।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলায় খামারিরা চলতি বছরের ৬২ হাজার ৩৬৪টি পশু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে হলো ষাড় গরুর ১১ হাজার ৯১০টি, বদল গরু ৭ হাজার ৩০টি, গাভী ২ হাজার ৩৫৫টি, মহিষ ১ হাজার ১১২টি, ছাগল ৩৬ হাজার ৬০০টি, ভেড়া ৩ হাজার ৭৭৯টি।
আছের, খোকন, সবুজ, বাবলুসহ অনেক খামারীই বলেন, চলতি বছর যে পরিমান গবাদিপশু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তা তাড়াশ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করা হয়। গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেশ খানিকটা বেড়েছে। তারা প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খড়, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুসি, খোল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড়গুলো মোটাতাজাকরণ করেছে। উপযুক্ত দামে পশুগুলো বিক্রি করা নিয়ে আছে দুশ্চিন্তায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রত্যাশা করছি সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথে কোন রুপ বাধা ছাড়াই গন্তব্যে যেতে পারবো। তবে পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও হয়রানির আশঙ্কাতো আছেই।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, তাড়াশ উপজেলাতে চলতি বছরের খামারিরা ৬২৩৬৪টি কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে হলো ষাঁড় গরুর সংখ্যা ১১৯১০টি, বদল গরু ৭৩০টি, গাভী ২৩৫৫টি, মহিষ ১১১২টি, ছাগল ৩৬৬০০টি, ভেড়া ৩৭৭৯টি। এরমধ্যে তাড়াশ উপজেলায় কুরবানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫৪৭০৫টি। বাকি ৭৬৫৯টি পশু দেশের অন্যান্য যায়গায় বিকি্র করা হবে।