বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে বিএনপির শুধু আনন্দের দিন নয়। আজকে আমাদের অঙ্গীকার করার দিন, আমাদের শপথ করার দিন। নেতৃত্ব মানে স্লোগান নয়, বরং অঙ্গিকার।
তিনি বলেন, তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন, সেই ৩১ দফার বার্তা প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। যার মাধ্যমে দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আগামীর নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
সোমবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর বাটার মোড়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
বেগম সেলিমা রহমান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন, তা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। সেই কর্মসূচির মাধ্যমেই দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আর এভাবেই বিএনপি আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় আসবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশ সংস্কারের প্রথম নায়ক। তাঁরই সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমান ঘুণেধরা দেশকে পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে আর কোনো সংস্কারের প্রয়োজন থাকবে না।
বক্তব্যে তিনি স্মরণ করেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের রূপকার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আর তাঁর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন।
সেলিমা রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে স্বৈরশাসককে বিতাড়িত করার জন্য। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে। এখন দেশের জনগণের দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, আর সেটি হবে নির্বাচনের মাধ্যমেই।
পথসভা শেষে বাটার মোড় হতে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালি নিয়ে নেতাকর্মীরা মালোপাড়া মোড় হয়ে লোকনাথ স্কুল দিয়ে রাজশাহী কলেজ গেট হয়ে মনিচত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে শেষ করেন। র্যালীতে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলির অন্যতম সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল অবঃ মোঃ শরীফ উদ্দীন,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, জেলা বিএনপি’ সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সাবেক সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক কে এম ওবায়দুর রহমান চন্দন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বক্কার সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক ও জয়নুল আবেদিন শিবলী, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ মহসিন, রুকুনুজ্জামান আলম, তাজমুল-তান টুটুল, গোলাম মোস্তফা মামুন।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি ও সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রুমেনা ইসলাম, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ প্রমূখ সহ আর অনেক নেতা কর্মি উপস্থিত ছিলেন।