October 5, 2025, 3:39 pm
সংবাদ শিরোনাম
রাজশাহীর কাটাখালী থেকে প্রায় ৫৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩  Bangladesh Central Press Club (B.C.P.C) strongly condemns, protests, and expresses deep outrage over the brutal attack on eight journalists in Debidwar. Senior Journalist and Humanitarian Sohel Sarkar Elected President of International Human Rights Organization in Tangail আমীরে জামায়াতের সঙ্গে সুইডেন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু তাড়াশে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শণ করেন (ওসি) জিয়াউর রহমান তাড়াশে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছে ইউএনও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান নির্বাচিত গোদাগাড়ীর প্রেমতলীতে নৌকা ডুবে নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ ও সহানুভূতি জানালেন মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন রংপুরে হাজির হাট থানা এলাকায় বাড়ি ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে রিক্তা বেগমের সংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জ তাড়াশে তলিয়ে গেছে গোচারণভূমি, পশু নিয়ে বিপদে খামারি

আলহাজ্ব সরকার টুটুল সিরাজগঞ্জ তাড়াশ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বন্যার পানিতে হাজার বিঘার গোচারণভূমিসহ বিস্তীর্ণ জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে মিলছে না সবুজ ঘাস। খড়, কচুরি, খৈল, ভুসিসহ প্যাকেটজাত গোখাদ্যেই প্রতিপালন করা হচ্ছে পশু। উচ্চমূল্যের এসব গোখাদ্য খাওয়ানোয় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ দুধ। এ ছাড়া উঁচু স্থান, বসতবাড়ি বা খামারের ছোট্ট জায়গায় গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গবাদিপশু। এতে পশু আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। লোকসানের শিকার হচ্ছেন বন্যাকবলিত গোখামারিরা।

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বস্তা খৈল, ভুসি ও প্যাকেটজাত গোখাদ্যের দাম দুই থেকে চার’শ টাকা বাড়িয়েছেন দোকানিরা। এতে বেড়েছে গবাদিপশু প্রতিপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন ব্যয়। ব্যয় বাড়লেও সবুজ ঘাস না থাকায় কমেছে দুগ্ধ উৎপাদন। একই সঙ্গে ছোট্ট খামারের অল্প জায়গায় ইটের ওপর গবাদিপশু লালন-পালন করায় দেখা দিচ্ছে খুরা, তড়কা, ম্যাসটাইটিসসহ ভাইরাসজনিত নানা রোগ। এতে ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছেন গোখামারিরা।

বারুহাস ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের খামারি উজির সরদার বলেন, এখন গরু বিক্রি করে গোখাদ্যের দামই উঠছে না। গরু লালন-পালন করে তাঁদের লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

খামারি নুরু হোসেন বলেন, ‘গরু বাথানে থাকলে সবুজ ঘাস খাইত, বেশি দুধ হইত। এখন বাঁধ ভেঙে বাথান পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বাড়িতে রাখা হয়েছে। সবুজ ঘাস না খাওয়ার কারণে দুধ হচ্ছে কম। ঘাস পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি সহায়তা দেওয়ার জন্য বন্যায় গবাদিপশু পালনকারীদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। খুরা, তড়কা, ম্যাসটাইটিসসহ নানা রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা দিতে মাঠে কাজ করছেন পশু চিকিৎসকেরা।

তিনি আরও বলেন, গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে পশুর সেবা, টিকা ও কৃমিনাশক ব্যবহারের বিষয়ে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন