সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দলীয় বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে আওয়ামী লীগ নেতা। গত ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলায় বড়দল উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির কাউন্সিলে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ইসমাইল হোসেন (৩৫) নামের ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের
আওয়ামী লীগ নেতা নবাব মিয়া(৫৫) ও তার আত্নীয় স্বজনরা।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা সন্ত্রাসী নবাব মিয়া ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। আজ ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের একতা বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন হতদরিদ্র একজন ভালো মানুষ। গত ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভোট দিতে নিজ বাড়ি আমতৈল থেকে একতা বাজারে আসলে সন্ত্রাসী নবাব মিয়াসহ ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিয়ে হামলা করে। এ সময় বিএনপি নেতা ইসমাইলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, হাতে ও পায়ে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় ইসমাইলে বোন জহুরা খাতুন বাদি হয়ে নবাব মিয়া ও তার সহযোগীদের আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পার থেকে সন্ত্রাসী নবাব মিয়া ও তার সহযোগীরা ইসমাইলের পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মামলা তুলে নিতে। এখন ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তারহীনতায় আছে। এমনকি মামলা দায়েরের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ কোন আসামীকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা আরও বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী নবাব মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই এলাকায় দলীয় প্রভাব কাটিয়ে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে রাখে। শুধু তাই নয়! নবাব মিয়া পূর্বে চরগ্রাও গ্রামে বসবাস করত। সেখানে থাকার সময় নবাব মিয়া গ্রামের নারী-পুরুষসহ সবার উপরেই জোর জুলুম করত। সেএকটি হাত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় নবাব মিয়া নামে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলাসহ নবাব মিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত ১৫ থেকে ২০ মামলা চলমান আছে। তাই সন্ত্রাসী নবাব মিয়াসহ তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে। এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিবলু মিয়া, মাদুক মিয়া, হোসেন আলী, জালাল উদ্দিন ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি, রহমত আলী, উসমান গণী, সাদেক মিয়া, আব্দুল আলী, আমির আলী,
উল্লেখ্য : গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ১০টা থেকে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টার দিকে কাউন্সিলে ভোট প্রদানের উদ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে একতা বাজার এলাকায় পৌঁছালে সেখানে দলীয় বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা নবাব মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী তাঁর উপর হামলা করে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথায় ও হাতে গুরুতর আহত করে। হামলার শিকার ইসমাইল উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মো. হেকিম আলীর ছেলে এবং ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।