সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নে চরিয়া শিকার গোলকপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন মোক্তার হোসেনের বাড়িতে আশার আলো এনজিও পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নেয় সিরাজগঞ্জের জৈনেক আলামিন হোসেন ও তার সহযোগী মাছুমপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী মোছাঃ আম্বলী খতুন নামের ব্যক্তিদ্বয়।
আলামিন হোসেন, আম্বলী ও জাহাঙ্গীর সলঙ্গার বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবকদের উচ্চবেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কর্মী সংগ্রহ করেন।
শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ প্রধান করেন রামকৃষ্ণপুর এলাকার লাইজুর রহমান রাজুকে এছারা মাঠকর্মী হিসেবে মোঃ রিপন ও ইব্রাহিম সহ প্রায় ১০ জনকে নিয়োগ প্রদান করে। কোম্পানির শর্ত মোতাবেক এসব মাঠকর্মী ও ব্যবস্থাপক বিভিন্ন এলাকায় সহজ সুবিধায় ঋন নিতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে সদস্য ও ঋনের জামানত সরুপ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জন প্রতি গ্রহন করেন। গত বৃহস্পতিবার সদস্যদের মাঝে ঋন বিতরনের কথা থাকলেও পালিয়ে যায় আলামিন হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম আম্বলী খাতুন ।
বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে বিপাকে পরেন লাইজুর রহমান রাজু সহ মাঠকর্মীরা।
তাদের করা সদস্যরা তাদের চাপ প্রয়োগ করলে উপায়ন্তর না পেয়ে শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত লাইজুর রহমান ও রিপন, ইব্রাহীম বাদি হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি প্রতারনার অভিযোগ দায়ের করেন।
লাইজুর রহমান জানান, আমাকে ৩০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে চাকরী দেয়, অফিসও আছে দেখে আমি সহ বেশ কয়েকজন চাকরীতে জয়েন করি। কোম্পানীর শর্ত অনুয়ায়ী সদস্য সংগ্রহ করি। ঋন প্রদানের জন্য যাবতীয় কাগজ পত্রদিও আমাদের দেওয়া হয়। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋনের বিপরীতে সন্চয় সরুপ ১০ হাজার থেকে ২০ টাকা গ্রহন করে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেই।
বৃহস্পতিবার উক্ত সদস্যদের ঋন বিতরণের তারিখ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাই। আলামিন হোসেনকে ফোন দিলে তিনি আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। এখন আমিসহ যারা চাকরী নিয়েছিলাম সবাই চরম বিপাকে আছি। বিভিন্ন জন এখন আমাদের সন্চয়ের টাকা ফেরত পেতে চাপ প্রয়োগ করছে, চাকরী করতে এসে বেতন তো পেলামই না উল্টো বিপাকে পরে গেলাম৷
আমরা সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রসাশনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার আশা করছি।
এ ব্যপারে বাড়ির মালিক মোক্তার হোসেন জানান,
আমার বাড়িতে গত দুই দিন আগেই চেয়ার টেবিল নিয়ে এরা উঠেছিল। আমি চুক্তি পত্র করতে বলেলে বলে আমাদের এক দুইদিন সময় দেন। পরে গত কাল সকালে শুনলাম মালিকরা পালিয়েছে।
শুধু কয়েকটা চেয়ার ও টেবিল রয়েছে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক বলেন, যাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা কেউ এখনও অভিযোগ করেনি, যারা নিয়েছে তারাই অভিযোগ করেছে, তবে খতিয়ে দেখে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।