September 19, 2024, 10:11 pm
শিরোনাম
রেজাউল কবির বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের সভাপতি মনোনীত: সর্ব মহলের অভিনন্দন শান্তিগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তাহিরপুরে স্কুল নিরাপত্তা বিষয়ক এ্যাডভোকেসী কর্মশালা তাহিরপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের “ইনাফ ক্যাম্পেইন” শুরু ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ  বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি অনুমোদন তাহিরপুরের ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের তিনটি দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি। বগুড়ায় এম-ট্যাবের প্রোগ্রাম চালাচ্ছে সভাপতি মাহাবুব, আছে মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের অভিযোগ। বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার অপরাধে ২৬ জনকে কারাদণ্ড প্রদান

বগুড়ায় এম-ট্যাবের প্রোগ্রাম চালাচ্ছে সভাপতি মাহাবুব, আছে মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের অভিযোগ।

মো: সামছুল হক,স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) বগুড়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মো: মাহবুব হোসেন। এছাড়া তিনি শেরপুর উপজেলা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বিএনপি ঘরানার লোক হলেও বিগত স্বৈরাশাসক হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের দলের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ও মেডিকেলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাশাসক হাসিনার দেশ ত্যাগের পরে একে একে আত্নগোপনে যান বগুড়ার অনেক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। কিন্তও বেশী সংখ্যকই নেতা কর্মী ও সুবিধাভোগীরা আত্নগোপনে যেতে পারেন নি। যারা আত্নগোপনে যেতে পারেন নি তাদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো এম-ট্যাবের সভাপতি মো: মাহবুর হোসেন। যা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বর্তমান মাহবুব এম ট্যাব প্রোগ্রাম বগুড়া আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ ইয়াকুব আলী আরেক সহ-সভাপতি মোঃ শিবলু, ফরহাদ ওরফে বোরহান সহ বেশ কিছু বিতর্কিত লোকজন সহ বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধুর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট লোকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে এম-ট্যাব বগুড়া আঞ্চলিক কমিটি গঠন হলেও তার পরবর্তীতে মাহবুবকে কখনো কোনো দলীয় প্রোগ্রামে ঠিকমতো উপস্থিতি পাওয়া যায় তার কারণ হচ্ছে তিনি একজন সেই সময় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। চাকরির সুবিধা নিতে এবং সুবিধা পেতে বিগত দিনে কখনো কোন এম ট্যাবের কার্যক্রমে ঠিকমতো তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। এম-ট্যাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াকুব আলীর যত অপকর্ম: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) এর বর্তমান সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন মো: ইয়াকুব আলী। ইয়াকুব আলী চাকরিরত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৎকালীন ২০১২-১৩ সালে রাতে ডিউটিরত অবস্থায় গাঁজাসহ তাস খেলতে গিয়ে ধরা ধরা পড়েন কর্তৃপক্ষদের কাছে । পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ তার দুইটা ইনক্রিমেন্ট বাতিল করে কুড়িগ্রাম রৌমারী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাকে ট্রান্সফার করে যা এখনো তারে চাকরি বইয়ের লিপিবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরবর্তী সময় সে আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্টে বদলি নিয়ে ফিরে আসেন। মোঃ শিবলু ফরহাদ ওরফে বোরহান উদ্দিনের যত অপকর্মঃ মোঃ শিবলু ফরহাদ ওরফে বোরহান উদ্দিনের যত অপকর্ম: ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক কালবেলা সহ অসংখ্য জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় “বগুড়ায় সরকারি ওষুধ বিক্রিতে জড়িত টেকনোলজিস্টকে কিশোরগঞ্জে বদলি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদে মোঃ শিবলু ফরহাদ ওরফে বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ ও রক্ত নিয়ে গোপনে নন্দীগ্রামে নিজের ক্লিনিকে সাপ্লাই করে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগ সহ গুরুতর অপরাধের তথ্য রেড়িয়ে আসে। এছাড়াও সরকারি চাকরির ফাঁকে বগুড়া, নন্দীগ্রাম, নওগাঁ ও বিভিন্ন এলাকায় ক্লিনিকসহ নামে-বেনামে চালাচ্ছেন ৭টি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় এম ট্যাবের নেতৃবৃন্দদের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পোস্টিং নিয়েছেন। আবু সালেহর যত অপকর্ম: আবু সালেহ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক থাকাকালীন তৎকালীন আওয়ামী লীগ শাসনামলে বগুড়া শহরের আরিফ কমিশনারের ছত্রছায়া থেকে আইএসটি ভবনে সজল ঘোষ কে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে আইএইচটি তে তার অপকর্ম প্রতিষ্ঠিত করে যা বিভিন্ন সময় সবাই অবগত রয়েছে তার এই কর্মকাণ্ডের বিষয়। অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রের বেশ কিছু নেতাদের ছত্রছায়ায় বর্তমান মাহবুব এইসব কার্যক্রম চালাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কেন্দ্রীয় এম ট্যাবের কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মামুন। বর্তমান সে বগুড়ায় টিএমএসএস হাসপাতাল ক্যান্সার বিভাগে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্টে কর্ম মত রয়েছে। এর আগে এম ট্যাবের বগুড়াতে কোন প্রোগ্রামে বা কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায় নাই। আর বর্তমান যাদেরকে নিয়ে প্রোগ্রাম করতেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো জসিম। জসিম বঙ্গবন্ধু পরিষদ কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলী পরিষদের রয়েছেন। সে বর্তমান বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওলজি বিভাগের ইনচার্জ পদে কর্মরত রয়েছে। সে দীর্ঘদিন কর্মরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন বিশ্বাস তন্ময় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরমান হোসেন ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন ৫ই আগস্ট এর পরে এম-ট্যাবের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে মাহবুব ভাইকে অনেকবার ফোনে দিলে ফোনে তাকে পাওয়া যায় নাই। পরবর্তীতে আইএইচটিতে প্রোগ্রামের বিষয়ে তার সঙ্গে দেখা হইলে তিনি সরাসরি আমাদেরকে বলে দেন আমি সভাপতি আমি আমার মত প্রোগ্রাম করবো তোমরা (সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক) তোমরা তোমাদের মত প্রোগ্রাম করো। এতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু পরবর্তীতে আমরাও জানতে পারি যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজি পরিষদের লোকজন নিয়ে প্রোগ্রাম করছে। এই বিষয়টি আমরা অবগত আছি। তবে যদি মাহবুব ভাই এই ধরনের কাজ করে থাকেন আর এই ভাবে যদি চলতে থাকে তবে তা সংগঠন এবং ত্যাগে কর্মীদের জন্য অবমূল্যায়ন করা হবে। এ বিষয়ে আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদ রিপন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ডলার কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমানকে অনুরোধ জানিয়েছেন ঘটনাটির সুষ্ঠ এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্যথায় সংগঠন এবং ত্যাগী কর্মীদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page