বাগেরহাট জেলাধীন চিতলমারী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে টানা ৪ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে ঘেরবেড়ি (নিচু এলাকার) তলিয়ে কোটি কোটি টাকার সাদা ও চিংড়ি মাছ বেরিয়ে চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অপর দিকে ঘেরের পাড়ে চাষিরা ১২ শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করেছেন ও অতি বৃষ্টিতে ২শ ৫০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে বলে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিফাতাল মারুফ জানিয়েছেন।
চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানিয়েছেন, চিতলমারী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ঘেরে চাষিরা সাদা ও চিংড়ি চাষ করে। এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৪ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে নিচু এলাকার ১২ হাজার মৎস্যঘের তলিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষিদের। সব মিলিয়ে চিতলমারী উপজেলার মৎস্য ও সবজি চাষিদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই চাষিরা ব্যাংক সহ এন, জিও, দাদোন মালিকদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষাবাদ করেছেন,কিন্তু এখন তারা দিশেহারা।
এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, খড়মখালি গ্ৰামের প্রমথ মন্ডল, মন্মথ মন্ডল, বিতান পোদ্দার, কৃষ্ণ রানা, সুজিত শিংহ, গরীব পুর গ্ৰামের রবিন মজুমদার, বৈদ্য নাথ, রাজু, গিরিশ, অনুজ, আদি খালি গ্ৰামের মো মেরাজ মীর, শিমুল মীর, কুরালতলা গ্ৰামের রাইরাজ বংশি,বিজয় রায়, শাহিনুর গাজী, আমল রায়,পিরেরাবাদ গ্ৰামের অঘোর মন্ডল, গণপতি, লিটন বালা, হাসাবুনিয়া কাটাখালী গ্ৰামের লেলিন বাড়ৈ, মিঠুন বাড়ৈ, উত্তর পাটরপাড়া গ্ৰামের রাজু মুন্সী, জেন্নাত মুন্সী, রাসেল, ফাইজুল হক, নাহিদুল ইসলাম, তাইজুল শেখ, সেলিম শেখ। ১নং বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ঘের চাষিদের একই অবস্থা।