প্রতারক মো: সফিউল্লাহ (৪০) কে আটক করে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভোলা বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত অনুমান ৮টায় আটক করে দফারফা শেষে রাত অনুমান ১২টায় ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আটককৃত সফিউল্লাহ উপজেলার ফুলকাচিয়া ৫নং ওয়ার্ডের (ঘোড়া গাজী বাড়ী’র) মৃত মো. শাহে আলম এর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন থানার এস.আই মো. মঞ্জুর হোসেন এর নেতৃত্বে এ.এস.আই ইয়ার হোসেন, এ.এস.আই নুরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৩টি মোটর সাইকেল যোগে বুধবার রাত ৮টার সময় বৌদ্ধের পোল এলাকা নামক থেকে সফিউল্লাহ কে আটক করে আবুল বাজার নিয়ে যায়। রাত ১২টায় পর্যন্ত দেন দরবার শেষে পুলিশ মোটা অংকের টাকা চাইলে পরিবার নগদ ৫০ হাজার টাকা দিলে পুলিশ আর ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে বাকী টাকা দেয়ার প্রতিশ্রæতি নিয়ে সফিউল্লাহ কে ছেড়ে দেন।
আটককৃত সফিউল্লাহ’র স্ত্রী মনি বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী বৌদ্বের পোল তার বোনের বাড়ীতে গেলে বুধবার রাতে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ মোটা অংকের টাকা দাবী করে। পরে কুঞ্জেরহাট হোটেল ব্যবসায়ী বাড়ীর উপরের ভাশুর সেন্টু ভাই’র কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার নিয়ে পুলিশ কে দিয়ে নগদ দিয়ে আমার স্বামী কে ছাড়িয়ে আনা হয়। পুলিশ আরও ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করছে। ওই টাকা দেয়ার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। টাকার চিন্তায় স্বামী কই আছে কিছুই জানি না। তাকে ফোন দেই ফোনও ধরে নে। তিনি আরও জানান, ৭/৮ মাস পূর্বেও আমার স্বামীকে পুলিশ ধরছে ওই সময়ও এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে। ওই টাকার ঋণ এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। ৩ সন্তান কে নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি। এদিকে এলাকার সচেতন মহল জানান, যারা জ¦ীন প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত তারা অবশ্যই অপরাধী তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোড়ালো দাবী করছি। তবে জ¦ীন প্রতারক ধরা আর ছাড়া নামে যে বাণিজ্য চলছে এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। টাকার বিনিময়ে ছাড়া পাওয়ায় তারা এ চক্রের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওদেরকে আটক করেই থানা পুলিশ যদি জেল হাজতে প্রেরণ করতেন তাহলে এ চক্রের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যেতো। তারা আরও জানান, যারা আমরা অপরাধী না তাদের কে মানুষ কাচিয়ার জ¦ীন হিসেবে ব্যঙ্গ করে তাই এদেরকে যে কোন মূল্যে নির্মূল করতে হবে।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার এস.আই মঞ্জুর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি এখন কাজে আছে। পরে কল দিবে। তবে ১ ঘন্টার পরও আর তিনি কল দেননি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. শাহীন ফকির জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে তা আমাকে জানাতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. বাবুল আখতার জানান, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে পুলিশ সুপার স্যারের বরাবর আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি মোঃ ছোবাহান হাওলাদার
১৩-৬-২০২৪
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩