আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কলকাতার অভিজাত এলাকা নিউটাউন থেকে।
তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রউফ। অবশ্য কলকাতার সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ শিরোনাম করেছে— নিউটাউনে ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে খুন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর নিউটাউন থেকে উদ্ধার হল বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের ৩ বারের সাংসদের মৃতদেহ। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। কে বা কারা তাঁকে খুন করল তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
চিকিৎসা করাতে গত ১২ মে কলকাতা এসেছিলেন ওই সাংসদ। তার পর পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি তিনি। ১৪ মে থেকে তাঁর ফোনও ‘সুইচ অফ’ ছিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে আনোয়ারুলের পরিবারের তরফে এর পর যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে। ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতা পুলিশ। এরই মাঝে বুধবার নিউটাউনের বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হয় ওই সাংসদের দেহ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় এসে তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। ২ দিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ তিনি গোপালকে জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তিনি বের হচ্ছেন, আজই ফিরে আসবেন। তবে তার পরদিনও সাংসদ না ফেরায় উদ্বিগ্ন গোপাল থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের তরফেও তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এর পরই সাংসদের খোঁজে তৎপর হয়ে ওঠে ভারত ও বাংলাদেশ। এরই মাঝে তাঁর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ ফরিদ হোসেন বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩