September 19, 2024, 1:01 am
শিরোনাম
ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ  বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি অনুমোদন তাহিরপুরের ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের তিনটি দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি। বগুড়ায় এম-ট্যাবের প্রোগ্রাম চালাচ্ছে সভাপতি মাহাবুব, আছে মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের অভিযোগ। বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ তাহিরপুরে যাদুকাটা নদীর পাড় কাটার অপরাধে ২৬ জনকে কারাদণ্ড প্রদান জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যব্স্থাপনায় জনগনের অংশগ্রহণের দাবী জাতীয় পর্যবেক্ষক পরিষদের বাংলাদেশকে ঘিরে পরাশক্তির উত্থান সম্ভাবনা -আবু জাফর মাহমুদ মেয়র মঈন কাদরির আমন্ত্রনে বার্কিং টাউন হল পরিদর্শনে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দল চিতলমারীতে ভারি বৃষ্টিতে চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

##ইতিহাসের নির্মম সাক্ষী খালিশপুরের নীলকুঠি##

(স্টাফ রিপোর্টার: হাদিসুর রহমান) জীবননগর চুয়াডাঙ্গা

ব্রিটিশ রাজত্বকালে ইংরেজরা এদেশে নীল চাষ করার জন্য যেসব কুঠি গড়ে তুলেছিলেন সেসব কুঠিবাড়িই নীলকুঠি নামে পরিচিত। নীলকুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। এ নদ দিয়েই নৌকায় করে আসতো ইংরেজরা। তারা ওই কুঠিতে থাকতো আর কৃষকদের ওপর অত্যাচার করতো। আঠারো শতকের শুরুর দিকে কোটচাঁদপুর দুতিয়ারকুঠি কুঠির মালিক ব্রিজবেন মহেমপুরের খালিশপুরে কপোতাক্ষ নদের তীরে এ কুঠিটি স্থাপন করেন।

১২ কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন এটি। নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো আয়তনে বড়।চুন, সুরকি ও পাকা ইট দিয়ে তৈরি এ ভবনটি।কুঠির নিচ তলায় ছিল নীল চাষের খাজনা আদায় ও নির্যাতন কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় আদায়কারীরা রাতযাপন করতেন।বিশ্রাম ও গোসল করার জন্য নির্মিত পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষের তীর পর্যন্ত নামানো। এখানে ১৮১০- ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকররা নীল চাষ পরিচালনা করত।এলাকার কৃষকের মাধ্যমে নীল চাষ করে পাঠানো হতো ।

ইংল্যান্ডসহ পৃথিবীরবিভিন্ন দেশে। দিনের পর দিন অত্যাচারে মাত্রা বাড়াতে থাকে ইংরেজ নীলকরদের।যারা নীলচাষ করতেন না তাদের এ কুঠিতে এনে করা হতো নির্যাতন।কুঠির সামনে থাকা গাছে বেঁধে চলত অমানুষিক নির্যাতন।গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে রাখা হতো কুঠির কক্ষগুলোয়।উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মতো এ নীলকুঠিটিও রেখে চলে যান নীলকররা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ১৪ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এটি একটি দ্বিতল ভবন। ১৮১০-১৮৫৮ সাল পযর্ন্ত এটি ছিল কৃষক নির্যাতন কেন্দ্র। ১৮৬৫ সালে নীল বিদ্রোহ সংগঠিত হলে অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যান।

পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদার জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত হিসাবে পড়ে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page